MrJazsohanisharma

নরসিংদীতে শিক্ষার্থীকে বলাৎকার, মাদরাসা শিক্ষক আটক

প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের হাজার হাজার আবাসিক মাদ্রাসায় লাখ লাখ ছেলে শিশু এই যে বলাৎকারের শিকার হচ্ছে, সেটা কী শুধুই বিকৃত যৌনাচারের খেলা? নাকি এর পিছনে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি কাজ করছে? খুব সরলভাবে বললে, এটা খুব সুপরিকল্পিতভাবে একটি ব্যক্তিত্বহানি করার খেলা।  একজন শিশু যখন বলাৎকারের শিকার হয়, নির্যাতনের শিকার হয়, সে তখন নিজের মধ্যে অসহায়ত্ব বোধ করে।  নিজের মধ্যে যে মরতে থাকে, অর্থাৎ তার নিজস্ব অস্তিত্ব ক্ষুন্ন হতে হতে শেষ হয়ে যায়।  তখন সে অন্যের কথায় অন্যের ইশারায় অন্ধভাবে অনুসরণ করতে থাকে। নিজের মেধা ও প্রতিভা আড়ষ্ট হতে হতে অপ্রকাশিত রাখতে রাখতে শেষ হয়ে যায়, নিজের মধ্যে সব স্বপ্ন ও উদ্দীপনার ঘাটতি হতে হতে এসময় হারিয়ে যায়।  এমন এক অন্ধকারে মধ্যে মেরুদণ্ডহীন প্রাণীর মতো একটি প্রজন্ম গড়ে উঠতে শুরু করে।  অন্ধ এক ধার্মীক সমাজ, অন্ধ এক অনুকরণ-অনুসরণকারী সমাজ গড়ে ওঠে ও বিকাশ লাভ করে।  আমাদের নেতারা যেমন এক বৈষম্যপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলেছে, সেখানে ধনবানরা নেতা আর ধনহীনরা অনুসরণকারী।  ধর্ম, টাকা আর রাজনৈতিক ক্ষমতা সংখ্যালঘু ধনহীনদের কীটে পরিণত করে দিয়েছে।  এই খেলা বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে।

মাদ্রাসা চলে ধনবানদের টাকায়। একজন মাওলানা ধনবানদের হয়ে কাজ করে।  মাওলানা নেতাদের জন্য অন্ধ অনুসরণকারী তৈরি করছে।  রাষ্ট্রযন্ত্রের ফাঁদে আটকে পড়া ইঁদুর হয়ে আছি আমরা।

নরসিংদীতে শিক্ষার্থীকে বলাৎকার, মাদরাসা শিক্ষক আটক

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় ১০ বছর বয়সী এক মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাওলানা মোহাম্মদ মুহসীন নামে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার আয়ুবপুর ইউনিয়নের শানখোলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা

হ্য়।  অভিযুক্ত শিক্ষক মুহসীন কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরের তারাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এবং শানখোলা মাদরাসা ও এতিমখানার সহকারী শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন নিয়োজিত আছেন।

ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, আবাসিক ও অনাবসিক- দুই ব্যবস্থাতেই পাঠদান করে শানখোলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা। ভুক্তভোগী ওই ছাত্র মাদরাসায় অবস্থান করে লেখাপড়া করে। বেশ কয়েকবার ছুটিতে বাড়িতে আসলে আর মাদরাসায় যেতে চাইতো না সে। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার জন্য চাপ দিলেও সেখানে না গিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে৷ পরে মা-বাবার কাছে বলাৎকারের ঘটনা খুলে বলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্র।

ঘটনার খবরে অভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন অভিযুক্ত শিক্ষককে মাদরাসা কক্ষে আটকে রাখেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বিবেচনায় শিবপুর মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয় স্বজনরা। পরে পুলিশ ফোর্স নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাউছার আলম প্রধান বলেন, দুই বছর ধরে এখানে শিক্ষকতা করছেন মাওলানা মোহাম্মদ মুহসীন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন তিনি। শিবপুর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন