লালিত-পালিত অনুভূতিতে আঘাত, কলেজ শিক্ষক কারাগারে

ধর্মের অনুভূতি লালন-পালন করতে হয়।  যেমন জন্মমাত্র একটি দীর্ঘ চীৎকার দিয়ে ইশ্বরের নাম তোমার কান দিয়ে মর্মে ঢুকিয়ে দেয়া হলো।  এরপর একটি অঙ্গ কর্তনের মাধ্যমে রক্ত দিতে হলো।  আর কিছু শিক্ষা গ্রহণ করো না করো ধর্মীয় শিক্ষার জন্য ধর্মীয় শিক্ষালয়ে পাঠানো হবে। সেখানে তোমাকে বিশেষ অঙ্গদান করতে হবে, যেনো তোমার শিক্ষক মাওলানা, মৌলভী, মৌলবী শারিরীক তৃপ্তি পেতে পারে।  এরপর হুজুরের পড়ানোর জন্য টাকা দাও।  মাদ্রাসা বানাতে পয়সা দাও। মসজিদ বানাতে পয়সা দাও। মাদ্রাসা চালাতে পয়সা দাও।  মসজিদ ও মৌলভীকে পয়সা দাও।  জাকাত দাও।  ফেতরা দাও।  হুজুরের মিলাদের জন্য পয়সা দাও। ওয়াজের জন্য পয়সা দাও।  মক্কা-মদিনার জন্য পয়সা দাও।  সময় দাও শ্রম দাও।  তারপর আমাদের আজিজুল হক হুজুরের একটি বিখ্যাত উক্তি বলি, ইসলাম নামক বৃক্ষের গোড়ায় পানি নয় রক্ত ঢালতে হবে।  তাহলে অনুভূতি লালন-পালন করতে কত কাঠ-খড় পোড়াতে হয়।  হে সাধু, তুমি এই অনুভূতিতে আঘাত করতে চাও? এই অনুভূতি রক্ষার জন্য রক্ত ঝরবে হে!

লালিত-পালিত অনুভূতিতে আঘাত, কলেজ শিক্ষক কারাগারে

ইসলামকে ‘যৌন ধর্ম’ আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট শেয়ার ও কমেন্টস করায় ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ জিকেপি ডিগ্রী কলেজের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় অভিযুক্ত সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ সংশ্লিষ্ট মামলায় এই আসামিকে ময়মনসিংহের চীফ জুডিশিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গত মঙ্গলবার শম্ভুগঞ্জ বাইতুল আমান জামে মসজিদে ইমাম মো. কাইয়ূম বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করে। পরে ওই মামলায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষ মুক্তাগাছা উপজেলার মহিষদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সতেন্দ্র ঘোষের ছেলে। তবে বর্তমানে সে ময়মনসিংহ নগরীর বাঘমারা এলাকায় বসবাস করত।

মামলার বাদি জানান, সম্প্রতি সুনীল চন্দ্র ঘোষ তার নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে ‘বাবার গলাতেই বিয়ের মালা দিলেন পাক তরুণী’ শিরোনামে একটি লেখা শেয়ার করে। পরবর্তীতে এই পোস্টের কমেন্টে ইসলাম ধর্মকে ইঙ্গিত করে সে লিখেন- ‘যৌন ধর্ম বলে কথা ভাই, ওটা যৌন ধর্ম’। ফতোয়াবাজদের সংগঠন, আদম-টাদম সবই ভুয়া কাল্পনিক মানুষের তৈরী গল্প’। এরপর ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত দেওয়া এই পোস্টটি মূহুর্তেই ভাইরাল হয়ে গেলে ওই পোস্টর বিরুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগণ কঠোরভাবে সমালোচনাসহ প্রতিবাদ জানিয়ে নানা ধরনের কমেন্টস করে। এ ঘটনায় শম্ভুগঞ্জ এলাকার মুসলিমদের মধ্যে মুহুর্তেই চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে জেলা পুলিশ সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ফেইসবুকে আপলোডকৃত পোস্টের স্কীনশর্ট জব্দ করা হয়েছে। গতকাল সুনীল চন্দ্র ঘোষকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

ভিডিওটি দেখতে পারেন:


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন