সৌদি আরব ইসরায়েল বিরোধীদের গ্রেপ্তার করছে কেনো?

ইসরায়েল ও আমেরিকার সাথে সৌদির খুব নিবিড় সম্পর্ক।  কেনো? একসময়ের বন্ধু জিহাদীরা এখন সৌদির বড় শক্রতে পরিণত হয়েছে।  কেনো? সৌদি আরব বুঝে গিয়েছে যে, ধর্ম ব্যবস্যা আর তেলের ব্যাবসা আর দীর্ঘদিন চালানো যাবে না।  ভিন্নপথ অবশ্যই বের করতে হবে।  এই ভিন্নপথের জন্য আমেরিকার দরকার ও ইসরায়েলেরও দরকার।  জিহারে বাই বাই করা ছাড়া সৌদির সাথে আমেরিকার সম্পর্ক হবে কেমনে? যদিও জিহাদীদের সোল এজেন্ট আমেরিকা।  আমেরিকাই তাদের দেখুক।  এককথায়, আয়-রোজগারের প্রশ্নে ইসরায়েল-আমেরিকা সৌদির বন্ধু। আসা যাক এখনকার সংবাদে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েল বিরোধী পোস্ট করায় অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরব। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েল বিরোধী মনোভাব প্রকাশের কারণে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন রয়েছেন, যিনি একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তার কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রজেক্টে কাজ করে। 

নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা গাজায় চলমান হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছিলেন।

আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানোয়। 

বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ইসরায়েলি ও মার্কিন কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই বয়কটের জেরে অনেক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

ব্লুমবার্গকে সৌদি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সৌদিতে ইরানপন্থি একটি প্রভাবের বিস্তার ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা থেকে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল বিরোধী অবস্থানের কারণে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ব্লুমবার্গ।  

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই জানা গেল ইসরায়েল বিরোধীদের ওপর গ্রেপ্তারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মুসলিম দেশ সৌদি আরব।    

ভিডিওটি উপভোগ করুন:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন