আগের পর্বগুলি:
হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ, পর্ব ০১: হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ, পর্ব ০২: হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ, পর্ব ০৩: হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ, পর্ব ০৪ হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ, পর্ব ৫ হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ, পর্ব ০৬ হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ, পর্ব ০৭
বাংলাদেশি লেখক হুমায়ুন আজাদ রচিত প্রবচন সংকলন। ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ সালে (ফাল্গুন, ১৩৯৮ বঙ্গাব্দ) একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলাদেশের আগামী প্রকাশনী, ঢাকা থেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই সংকলনে সর্বমোট ২০০টি প্রবচন যুক্ত হয়েছে। আজাদ সংকলনটি হুমায়ুন আজাদ গুস্তাভ ফ্লোবের প্রবচনগুচ্ছের অনুকরণে এ গ্রন্থটি সংকলন প্রণয়ন করেন। লেখক এটি উৎসর্গ করেছেন অধ্যাপক কবির মজুমদারকে।
হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ, পর্ব ০৮
৮১. সৌন্দর্য রাজনীতির থেকে সব সময়ই উৎকৃষ্ট।
৮২.'স্কুধা ও সৌন্দ্যবোধের মধ্যে গভীরসম্প্ক রয়েছে৷ যে-সব দেশে অধিকাংশ মানুষ অনাহারী, সেখানে মাংসল হওয়া রূপসীর লক্ষণ, যে-সব দেশে প্রচুর খাদ্য আছে সেখানে মেদহীন হওয়া রূপসীর লক্ষণ। এজন্যেই হিন্দি আর বাঙলা ফিল্মের নায়িকাদের দেহ থেকে মাংস চর্বি উপচে পড়ে। ক্ষুধার্ত দর্শকেরা সিনামা দেখে না. মাংস ও চর্বি ক্ষুধা নিবৃত্ত করে।
৮৩. বাঞ্ছিতদের সাথে সময় কাটাতে চাইলে বই খুলুন, অবাঞ্ছিতদের সাথে সময় কাটাতে চাইলে টেলিভিশন খুলুন।
৮৪. স্তবস্তুতি মানুষকে নষ্ট করে৷ একটি শিশুকে বেশি স্তুতি করুন, সে কয়েক দিনে পাকা শয়তান হয়ে উঠবে। একটি নেতাকে স্তুতি করুন, কয়েকদিনের মধ্যে দেশকে সে একটি একনায়ক উপহার দেবে।
৮৫. ধনীরা যে মানুষ হয় না. তার কারণ ওরা কখনো নিজের অন্তরে যায় না। দুঃখ পেলে ওরা ব্যাংকক যায়, আনন্দে ওরা আমেরিকা যায়। কখনো ওরা নিজের অন্তরে যেতে পারে না.কেননা অন্তরে কোনো বিমান যায় না।
৮৬.'বাঙলাদেশের রাজনীতিকেরা স্থুল মানুষ, তারা সৌন্দর্য বোঝে না ব'লে গণতন্ত্রও বোঝে না, শুধু লাইসেস-পারমিট-মন্ত্রীগিরি বোঝে।
৮৭. এমন এক সময় আসে সকলেরই জীবনে যখন ব্যর্থতাগুলোকেই মনে হয় সফলতা, আর 'সফলতাগুলোকে মনে হয় বার্থতা।
৮৮,'রাজনীতি ও সংস্কৃতি সম্পূর্ণ বিপরীত বস্তু; একটি ব্যাধি অপরটি স্বস্থ্য
৮৯.মহিলাদের ঘ্রাণশক্তি খুবই প্রবল। আমার এক বন্ধুপত্নী স্বামীর সাথে টেলিফোনে আলাপের সময়ও তার স্বামীর মুখে হুইস্কির ঘ্রাণ পান।
৯০.আগে প্রতিভাবানেরা বিদেশ যেতো, এখন প্রতিভাহীনেরা নিয়মিত বিদেশ যায়।