গণমিছিল কেন বাইতুল মোকাররম মসজিদ থেকে বের করতে হবে?

ডানের ছবিতে ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলারা
 

সুষুপ্ত পাঠক

ছাত্ররা, গণমিছিল কেন বাইতুল মোকাররম মসজিদ থেকে বের করতে হবে? ছাত্র সমাজ তো সব ধর্ম সম্প্রদায় থেকেই এসেছে। এ জন্যই রাজনীতি বা সামাজিক আন্দোলনে কোন ধর্ম আনতে হয় না। কারণ সেখানে সব সম্প্রদায়ের মানুষ থাকে। তোমাদের আদর্শ তো ইসমাইল হানিয়া বা হিযবুল্লাহ না! তোমাদের আদর্শ হবার কথা ক্র্যাক প্লাটুন। তোমাদের আদর্শ হবে কবি নজরুল। সুকান্ত। ভগত সিং। 

তোমাদের মিছিল বের হবে শহীদ মিনার থেকে। অপরাজেয় বাংলা থেকে। বড়জোর তোমাদের বিশ্ববিদ্যায় কলেজ থেকে। মসজিদ থেকে নয়। তোমাদের শিক্ষক যদি হয় আসফি নজরুল বা আসিফ মাহতাব তাহলে এই আন্দোলনে নতুন বসন্ত দেখার স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছু হবে না। আওয়াজ তোলো সব মানুষের বাংলাদেশের। অসাম্প্রদায়িকতার। প্রগতিশীল আধুনিক বাংলাদেশের একমুখী শিক্ষার। না হলে আর কিসের পরিবর্তন আর বিকল্প? 

স্পষ্ট করো তোমাদের অবস্থান। তোমাদের পাশে আছি। কিন্তু সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে মুসলিম লীগকে আর যে-ই সমর্থন করুক আমি করবো না। আমার লড়াই মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে। তাই কথিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ‘সোল এজেন্টকে’ প্রত্যাখ্যান করেছি। নতুনের কাছে প্রত্যাশা অনেক। তারাও কি হতাশ করবে? 

ইন্ডিয়ান সৈন্যরা বাংলাদেশের আর্মির পোশাক পরে নেমে গেছে এইসব তো জামাতের ইসলামের বুলি। আমাদের অনুপ্রেণার জন্য আছে মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, আছে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম, সেসব বাদ দিয়ে বদর যুদ্ধ, খন্দকের যুদ্ধকে কেন উদাহরণ টানতে হবে? এইসব জামাতী প্রোপাগন্ডাকে এখনি উত্খাত করো। আন্দোলনকে জামাতের খপ্পরে নিয়ো না। তোমাদের পাশে আছি।

ক্র্যাক প্লাটুন:

এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ২ নং সেক্টরের অধীন একটি স্বতন্ত্র গেরিলা দল- যারা মূলত গণবাহিনীর অংশ বলে পরিচিত। এই বাহিনীর সদস্যরা ভারতের মেলাঘর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই প্রশিক্ষণে গ্রেনেড ছোড়া, আত্ম-গোপন করা প্রভৃতি শেখানো হতো। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখেন গেরিলারা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন