আরেফিন মাহমুদুল হাসানের ফেসবুক থেকে:
ছাত্র আন্দোলন সিআইএ-র পরিকল্পনায় সফল কালার রিভলিউশন তা নিয়ে দ্বিধায় থাকার আর সুযোগ নেই। ডক্টর ইউনূস আমেরিকার ট্রাম কার্ড। ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়করা ডক্টর ইউনুসকে চাইবে এটা প্রত্যাশিত ছিল।
'তারা কখনই অন্য কাউকে চাইতো না। এবার কিছু তথ্য দিই, বসে বসে মেলান। প্রধান সমন্বয়করা সাধারণ ছাত্র মোটেও নন। তারা একটি ছাত্র সংগঠনের নেতা। সংগঠনটার নাম গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি। গতবছরের ৪ অক্টোবরের ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। নাম গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি। নামটা স্মরণে রাখেন। প্রধান সমন্বয়কদের অনেকেই এই সংগঠনের নেতা।
আবার ২০০৭ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি 'ঢাকার বুকে একটি 'রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দলের নাম 'নাগরিক শক্তি'। দলের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর ইউনূস। কাকতালীয় মনে হয়? এবার দেখেন, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ভ্যান মোজিনা ২৯ জুলাই
বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক 'দলের সম্ভবনার কথা বলেন।
এখন ফেসবুকে সমস্বয়কদের হঠাৎ বিএনপি বিরোধীতা এ কারণেই করছে। এ কালার 'রিভলিউশন শুরু করার হুইসেলটা প্রথম মার্কিন দূতাবাস থেকে দেয়া হয়। 'রংপুরে আমাদের ভাই আবু সাইদ হত্যার ঠিক ১৬ ঘন্টা আগে মাকিিন দূতাবাস দাবী
করে বসে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ২ ছাত্র নিহত হয়েছে। ব্যাস, কালার 'রিভলিউশনে জড়িত সকল প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি জড়িত সক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান, এনজিওর এক্টিভিস্ট, বামপন্থীদের একটি ছোট অংশ যারা নিজেদের
'আসল এন্টি ফ্যাসিষ্ট হিসেবে দাবি করে, পশ্চিমবঙ্গের একটি রাজনৈতিক দল, এবং সেখানকার কিছু স্বাধীন সাংবাদিক এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত।
এসব মেলানোর সময় একটা দই খেতে পারেন। দইটার নামও শক্তি দই। যেটা ইউনুসের প্রতিষ্ঠানের দই। ১০ টাকা দাম।
অমি রহমান পিয়ালের ফেসবুক থেকে:
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবশেষে কোটা ভিত্তিক গঠিত হলো:
সাধারণ কোটা ০৭ জন (১৪.২৮%)
এনজিও কোটা ০৬জন (১৬.৬৬%)
জেলা কোটা ০৪ জন (২৩.৫৩%)
নারী কোটা ০৪ জন (২৩.৫৩%)
হেফাজতে ইসলাম কোটা ০১ জন (৫.৮৮%)
হিন্দু কোটা ০১ জন (৫.৮৮%)
আদিবাসী কোটা ০১ জন (৫.৮৮%)
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ০১ জন (৫.৮৮%)
ছাত্র কোটা ০২ জন (১১.৭৬%)
শুধু প্রতিবন্ধী কোটায় কাউকে নেওয়া হয় নি! স্যরি জিয়া পরিবার...
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়করা ছাত্র নন
নাহিদ ইসলাম:
উপদেষ্টাদের মধ্যে আছেন কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের ডাক দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন নাহিদ ইসলাম। নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ (শিক্ষাবর্ষ-২০১৬-১৭) থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এর আগে তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্ব গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব। ২০২৩ সালের অক্টোবরে আত্মপ্রকাশের সময় বলা হয়েছিল, এটি ‘রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিমুক্ত স্বতন্ত্র একটি ছাত্র সংগঠন'।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একজন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আসিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ (শিক্ষাবর্ষ- ২০১৭-১৮) থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন তিনি। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কলেজটির বিএনসিসি ক্লাবের প্লাটুন সার্জেন্ট আসিফের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়। গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য সচিব আসিফ।
আরিফুর রহমানের ফেসবুক থেকে:
সিআইএ গত পঁচিশ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে 'কালার রেভুলুশন' বা রঙ বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। তালিকা দেখুন:
১. রোজ বিপ্লব (জর্জিয়া, ২০০৩):
মার্কিন সমর্থনপুষ্ট বিক্ষোভের মাধ্যমে জর্জিয়ায় 'রোজ বিপ্লব' রাষ্ট্রপতি শেভার্দনাদজের পদত্যাগ ঘটায়।
২. অরেঞ্জ বিপ্লব (ইউক্রেন, ২০০৪-২০০৫):
ইউক্রেনের 'অরেঞ্জ বিপ্লব' পশ্চিমা সহায়তায় কারচুপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে নতুন নির্বাচনে বিরোধী নেতা ভিক্টর ইউশচেঙ্কোর বিজয় নিশ্চিত করে।
৩. টিউলিপ বিপ্লব (কিরগিজস্তান, ২০০৫):
কিরগিজস্তানে 'টিউলিপ বিপ্লব' দুর্নীতির অভিযোগের পর গণআন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আসকার আকায়েভকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
৪. সিডার বিপ্লব (লেবানন, ২০০৫):
লেবাননে 'সিডার বিপ্লব' আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়ে সিরিয়ার সেনা প্রত্যাহার ঘটায়।
৫. গ্রিন মুভমেন্ট (ইরান, ২০০৯):
ইরানের 'গ্রিন মুভমেন্ট' নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগে ব্যাপক বিক্ষোভ তৈরি করে, যা আংশিকভাবে পশ্চিমা সমর্থনপ্রাপ্ত ছিল।
৬. জেসমিন বিপ্লব (তিউনিসিয়া, ২০১০-২০১১):
তিউনিসিয়ার 'জেসমিন বিপ্লব' সরকারি দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে প্রতিবাদ করে এবং আরব বসন্তের সূচনা ঘটায়।
৭. ইউরোমাইদান এবং মর্যাদার বিপ্লব (ইউক্রেন, ২০১৩-২০১৪):
ইউক্রেনের 'ইউরোমাইদান আন্দোলন' পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট হয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে পরিণত হয়।
৮. হংকং আন্দোলন (২০১৯-২০২০):
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন মূলত স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে শুরু হয়েছিল, যার পেছনে পশ্চিমা সমর্থনের অভিযোগ ছিল।
সিআইএ জড়িত থাকার সন্দেহ বা অভিযোগ:
সিআইএ ও পশ্চিমা সংগঠনগুলোর কিছু আন্দোলনকে আর্থিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশের করুন পরিস্থিতি করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকার ও উপদেষ্টা মন্ডলীগণ ।
উত্তরমুছুন