৫০ লাখ টাকা ক্ষতি করে জিম্ববুয়ে সিরিজে খেলছেন মোস্তাফিজ!

চেন্নাই সুপার কিংস নাকি জাতীয় দল? আইপিএল নাকি জিম্বাবুয়ে সিরিজ? মোস্তাফিজুর রহমানের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য কোনটি ভালো। এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে খোদ ক্রিকেট বোর্ডেই। এর মধ্যে হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে বোর্ড পরিচালক জালাল ইউনুসের একটি মন্তব্যে।

বুধবার গণমাধ্যমে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান বলেছিলেন আইপিএল থেকে মোস্তাফিজের শেখার কিছুই নেই। এমন মন্তব্যকে ‘সেরা রসিকতা’ বলছেন সাবেক ক্রিকেটার, দেশসেরা কোচসহ সাধারণ ক্রিকেট প্রেমিরাও।

যদিও দিন দুয়েক আগে বিসিবির আরেক পরিচালক আকরাম খানও বলেছিলেন খর্ব শক্তির জিম্বাবুয়ের নয় মোস্তাফিজের জন্য ভালো হবে আইপিএল। সব মিলিয়ে আইপিএলে কাটার মাস্টারের খেলা, না খেলা নিয়ে জমে উঠেছে কথার লড়াই। আর নাই চাইলেও এই লড়াইয়ের মাঝে পড়ে বড় ক্ষতির মুখে মোস্তাফিজ।

দুবাই হওয়া সবশেষ নিলামে ভিত্তি মূল্য দুই কোটি রুপিতে তাকে দলে ভেড়ায় চেন্নাই সুপার কিংস। চলমান আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি তিনি। চেন্নাইয়ের জার্সিতে মাঠের পারফরম্যান্সেও রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে।

এ পর্যন্ত ৫ ম্যাচে শিকার করেছেন ১০ উইকেট। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় কাটার মাস্টার রয়েছেন ৩ নম্বরে। অথচ আইপিএলে যোগ দেওয়ার আগে ফর্মহীনতা ভুগছিলেন তিনি। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ ম্যাচে নেন মাত্র ২ উইকেট। আর শেষ ১০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার উইকেট মাত্র ৭টি। বিপিএলেও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।

অথচ জালাল ইউনুসের যুক্তি আইপিএল না খেললে বিশ্বকাপে সতেজ থাকবেন মোস্তাফিজ। এদিকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে জিম্বাবুয়ের চেয়ে আইপিএলকে এগিয়ে রাখছেন অনেকে।

আগামী ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে। এ সফরে সফরকারীদের দলে থাকতে পারেন সিকান্দার রাজা, শন উইলিয়ামস, ক্রেগ আরভিনদের মতো ব্যাটাররা। আর ২ মে দেশে ফিরলে মোস্তাফিজ খেলতে পারবেন না পাঞ্জাব কিংস, গুজরাট টাইটান্স, রাজস্থান রয়্যালস ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মতো দলে বিপক্ষে।

চলতি আসরে যে দলগুলোতে খেলছেন বিরাট কোহলি, জস বাটলার, রাইলি রুশো, ডেভিড মিলারের মতো মারকুটে ব্যাটাররা। এমন টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ ব্যাটারদের বিপক্ষে বোলিং করা, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলা যে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির লক্ষ্যে মোস্তাফিজের জন্য ভালো হবে, এটা যে কেউ বুঝলেও, বুঝতেছে না বিসিবির কর্তারা।

আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরলে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতছাড়া হবে মোস্তাফিজের। যা নিঃসন্দেহে পোড়াবে কাটার মাস্টারকে। আবার তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের সবগুলো ম্যাচে খেলবেন এমন সম্ভাবনাও নেই।

কাজে তার আয়ের ঘাটতির পরিমাণটাও বাড়বে। ভালো প্রতিপক্ষ এবং উচ্চ আয়ের সুযোগ, সব মিলিয়ে আইপিএলের শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজকে খেলতে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকে। আর তা না হলে আর্থিক তো বটেই মানসিকভাবেও ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন কাটার মাস্টার।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন