কবি
শেলীর বক্তব্যের একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেছিলো আলা আমিন মিয়া। গজিয়ে ওঠা অনুভূতির বিশেষ
অঙ্গে আঘাত লেগে গেলো। পোস্টদাতা যুক্তি তুলে ধরতে চাইলো, তারা যুক্তি মানবে না। মানবে
কেনো? বিশ্বাস করাকে ইমান বলে। এরা ইমানদার। তারপর গণধোলাই। তারপর পুলিশ এলো। তারপর
জেলে পাঠালো। পাবলিক খুশি, পুলিশ খুশি কাম সরকার খুশি। হে সাধু, তুমি কী খুশি নও?
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার আউলিয়া বাজারে
স্থানীয় জনগণ অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলে তিনি তার মতবাদের পক্ষে
যুক্তি উপস্থাপন করেন। এতে তৌহিদী জনতা উত্তেজিত
হয়ে তাকে গণধোলাই দেন। পরে বিজয়নগর থানা ও আউলিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির একটি
টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ওই যুবককে বিজয়নগর থানা হেফাজতে নিয়ে যান।
অভিযুক্ত যুবক আল আমিন মিয়া উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের
ভিটিদাউদপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত প্রচারণা ও ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক বিভিন্ন পোস্ট করতেন এ যুবক। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলে তিনি মতবাদের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত তৌহিদি জনতা উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, কেউ তার মতবাদের পক্ষে
যুক্তি দিলে তাকে গণধোলাই দিতে হবে, এমনটা একটি অসভ্য সমাজেই সম্ভব। যুক্তির পরিবর্তে যারা
যুক্তি দিতে পারে না, তাদের পক্ষেই এগুলো সম্ভব। এসব বর্বর এবং পাশবিক আচরণ। সরকার যদি
অসাম্প্রদায়িক দেশ চায় তবে প্রশাসনের উচিৎ হবে অনতিবিলম্বে হামলায় অভিযুক্তদের
গ্রেফতার করা এবং নিজের মতবাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনকারী যুবককে সসম্মানে মুক্তি
দেয়া৷
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল
ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত যুবককে পুলিশের হেফাজতে আনা হয় এবং পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ২৯৫/২৯৮
ধারায় মামলা রজু করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।